জন্ডিস থেকে মুক্তির সঠিক প্রতিকার

জন্ডিস একটি সাধারণ সমস্যা। জীবনের কোনো না কোনো সময়ে আমরা এর দ্বারা প্রভাবিত হই। আজ আমরা জন্ডিস থেকে মুক্তির সঠিক প্রতিকার সম্পর্কে জানব।

জন্ডিস মানে কি?

জন্ডিস আসলে কোনো রোগ নয়, এটি বিভিন্ন রোগের লক্ষণ। যদি কারো রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়, সাধারণত দুই বা তিনের কাছাকাছি, তাদের মল বা চোখ হলুদ হবে। সহজ বাংলায় একে আমরা বলি জন্ডিস।

জন্ডিস থেকে মুক্তির সঠিক প্রতিকার

স্বাভাবিক খাওয়া, কিছু বিশ্রাম; কারণ শারীরিক দুর্বলতা আছে। এতে রোগী কোনো প্রকার তৎপরতা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। যদিও এক থেকে দুই শতাংশ জটিলতা দেখা দেয়, তবে তাদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়। যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়, যদি চিকিৎসা না করা হয়, তারা দুই থেকে চার সপ্তাহ পরে সেরে উঠবে।

পরিমিত পানি: জন্ডিস হলে প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। কারণ জন্ডিস এক ধরনের পানিবাহিত রোগ। তাই এ সময় শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই পরিমিত পরিমাণ পানি পান করলে অতিরিক্ত টক্সিন বের হয়ে যায়। ফলে লিভারের কার্যকারিতা স্বাভাবিক থাকে।

হার্বাল টি: আপনার জন্ডিস হলে কখনই কফি বা চা বা কোকো পান করবেন না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এসব খাবারের বদলে হার্বাল চা খান। এমনকি দুগ্ধজাত খাবারও এড়িয়ে চলা উচিত।

ফাইবারযুক্ত খাবার: জন্ডিস হলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল এবং সবজি, অবশ্যই। এছাড়াও, বেশি করে বাদাম, এবং শস্য যেমন ওটমিল, বাদাম, বাদামী চাল ইত্যাদি খান।

সুগার জাতীয় খাবার: জন্ডিস হলে চিনিযুক্ত খাবার খেতে হবে তবে পরিমিত। যেমন আখের রস জন্ডিসের জন্য খুবই উপকারী। তবে হ্যাঁ, রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া আখের রস খাবেন না।

লেবুর রস: লেবুর রস পেটের জন্য সহায়ক। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানিতে লেবুর রস খেলে আপনার পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করবে।

আনারস: আখের রস যেমন জন্ডিসে ভালো কাজ করে, তেমনি আনারসও ভালো কাজ করে। এছাড়া লিভার পরিশোধনে আনারস খুবই উপকারী।

আরো পড়তে পারেন: চুল পড়া রোধ করার উপায় ও পুষ্টিকর খাবার

এই রোগীদের কিছু কিছু অপচিকিৎসার মাধ্যমে, তাদের মালা পরানো, হাত ধোয়ানোর মতো চিকিৎসা করা হয়। সে যে সুস্থ হচ্ছে, তখন তারা ধরে নেয় যে মালা পরানোর জন্য বা হাত ধোয়ানোর জন্য সুস্থতা লাভ করছে বা হাত ধোয়ানোর মাধ্যমে জন্ডিস বের হয়ে যাচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *