মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম : একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার নিয়মিত এবং সময়মত মাসিক হওয়া সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ৷ কিন্তু যদি এটি অনিয়মিত হয়ে যায়, তাহলে এর অর্থ হতে পারে যে কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে।
মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম
আসলে নির্ধারিত সময়ের থেকে, অর্থাৎ ঠিক ২৮ দিনের গ্যাপে যদি কারো মাসিক না হয়, তবে অনেক নারীরা চিন্তা করে থাকে। অনেক নারীরা আবার মাসিক হওয়ার ট্যাবলেটের নাম বা মাসিক না হলে বিভিন্ন ঔষধ খুঁজে হয়রান হয়ে থাকে। কারণ সত্যিকার অর্থেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক না হওয়া আতঙ্কিত হওয়ার মত একটি গুরুতর বিষয় হয়ে পড়ে।
মাসিক দেরিতে হওয়ার কারণ
মাসিক দেরিতে হওয়া নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন পিরিয়ড বা মাসিক হওয়ার সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত? স্ট্রেস থেকে আবহাওয়া সবকিছুই আপনার মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক মহিলার সাধারণত প্রতি ২৮ থেকে ৩৫ দিন অন্তর মাসিক হয়।
মাসিক দেরিতে হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে গর্ভাবস্থা, বয়স, মানসিক চাপ, অকাল গর্ভপাত, কম ওজন ফাইব্রয়েডস, এবং হরমন জনিত সমস্যা অন্যতম। কিন্তু আপনার মাসিক দেরিতে হওয়ার ক্ষেত্রে যদি এর একটা কারণও না থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
মাসিক না হওয়ার কারণ
মেয়েদের পিরিয়ড না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যার কারণে মাসিক সাময়িকভাবে বন্ধ বা মাসিক দেরিতে পারে।
গর্ভাবস্থা: যদি সহবাসের পরে আপনার মাসিক না পান তবে প্রথমে আপনি গর্ভবতী কিনা তা পরীক্ষা করুন।
মানসিক চাপ: অনেকেরই দেরীতে পিরিয়ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি তারা দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপে থাকেন বা কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত থাকেন।
বয়স: অল্পবয়সী এবং মধ্যবয়সী মেয়েদের মাঝে মাঝে হরমোনের সমস্যার কারণে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
অকাল গর্ভপাত: একজন নারী সহবাসের পর হঠাৎ গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু তা তিনি নিজেও জানতেন না। এরপর তা নিজে থেকেই মিসক্যারিজ হয়ে যেতে পারে। তখন পিরিয়ড অনেক দেরিতে হয়। আর এইরকম হলে সাধারণত মাসিকের তুলনায় কিছু দিন পর অনেক রক্তপাত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অনেকেই মনে করেন দেরিতে মাসিক হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।
কম ওজন: শারীরিক ওজন হ্রাস বা খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে পিরিয়ড মিস হতে পারে। এমনকি কিছু দিনের জন্য মাসিক বন্ধ থাকতে পারে।
আরো পড়তে পারেন: সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়
মাসিক নিয়মিত করার উপায়
আপনার নিয়মিত মাসিক হঠাৎ অনিয়মিত হয়ে পড়লে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ মাসিক নিয়মিত করার কিছু উপায় রয়েছে। প্রথমে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করে আপনি আপনার মাসিক নিয়মিত করতে পারেন।
ব্যায়াম: গবেষণায় দেখা যায় যে মহিলারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় এবং তাদের মাসিকের কোন সমস্যা হয় না। মেয়েদের জন্য কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো মাসিক শেষ হওয়ার পর নিয়মিত ব্যায়াম করলে পরবর্তীতে নিয়মিত মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
টক জাতীয় ফল: টক জাতীয় ফল খেলে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হতে পারে। টকজাতীয় অনেক ফল রয়েছে তারমধ্যে যেমন – তেঁতুল, মাল্টা, জলপাই আরো যা রয়েছে তা যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে থাকে।
আদা: অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করতে আদা সবচেয়ে কার্যকরী। আদা খাওয়ার উপায় হল ১ কাপ পানিতে ১/২ চা চামচ আদা দিয়ে ৫-৭ মিনিট পানি ফুটিয়ে নিন। প্রতিদিন তিন বেলা খাবার পর এই পানি পান করুন। এক মাস নিয়মিত পান করলে আপনার মাসিক নিয়মিত হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্যকর জীবন: আমাদের সবার উচিত সুস্থ জীবনযাপন করা। কিন্তু যেসব মহিলারা মেনোপজের বয়সে বা বয়ঃসন্ধিতে প্রবেশ করছে, তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বয়ঃসন্ধির পর মেয়েদের অনেক রোগ হতে পারে।
মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম
মাসিক না হলে ঔষধ খাওয়া অথবা কোন কৃত্রিম উপায়ে মাসিক ঘটানো বা বন্ধ করা কোন স্থায়ী সমাধান না। তবে যদি একেবারেই কোন উপায় না থাকে, তাহলে আপনি মাসিক হওয়ার বিশেষ ঔষুধ গ্রহণ করতে পারেন।
দাম সহ মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম
মাসিকের নিয়মিত করার ট্যাবলেট আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক হরমোনের উপর কাজ করে এবং যাদের মাসিকের সমস্যা আছে তাদের অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
Normens | Renata | 6 Taka |
Ethinor | Eskayef | 5 Taka |
Feminor | Acme | 5 Taka |
Menoral | Square | 6.50 Taka |
Mensil N | HealthCare | 7.50 Taka |
Remens | Populer | 5 Taka |
Menogia | ACI | 6 Taka |
Norcolut | City Overseas | 7.25 Taka |
Norestin | Nuvista | 6.84 Taka |
Noteron | Incepta | 5.5 Taka |
চিকিৎসকরা এই ট্যাবলেট প্রতিদিন ১ টি করে এবং ৩ বেলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ৫ দিন করে আবার কারো ক্ষেত্রে ১সপ্তাহ পর্যন্ত এটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
সর্তর্কতা: মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।