সহবাসের দোয়া ও সহবাসের নিয়ম

সহবাসের দোয়া Sohobaser Doa বা সহবাসের দোয়া বাংলায় জানবেন আমাদের আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে।

বিবাহের ফলে স্বামী-স্ত্রীর যাবতীয় বৈধ কার্যক্রম হয়ে ওঠে কল্যাণ ও ছাওয়াবের কাজ। বংশবৃদ্ধির একমাত্র মাধ্যমে হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর সহবাস।

সহবাসের দোয়া

সহবাসের দোয়া আরবি بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

সহবাসের দোয়া বাংলায়

সহবাসের দোয়া বাংলা উচ্চারণঃ  বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।

সহবাসের দোয়া বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি,  তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে,  তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখ।

সহবাসের দোয়া
সহবাসের দোয়া

স্ত্রী সহবাসের নিয়ম

আল্লাহ তা’আলা বিবাহের মাধ্যমে নারী-পুরুষের যৌন সম্ভোগ তথা বংশ বৃদ্ধিকে কল্যাণের কাজে পরিণত করেছেন। সহবাসের কিছু নিয়ম কানুন আছে যা মেনে সহবাস করতে হবে। 

১) স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে।
২) বিসমিল্লাহ বলে সহবাস শুরু করা মুস্তাহাব।
৩) সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৪) সব ধরনের দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা।
৫) কেবলামুখি হয়ে সহবাস না করা।
৬) একেবারে উলঙ্গ না হওয়া।
৭) স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দান করার পূর্বে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
৮) বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়া। 
৯) স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় সহবাস না করা।
১০) চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে মিলিত না হওয়া।
১১) স্ত্রীর জরায়ুর দিকে চেয়ে সহবাস না করা।
১২) বিদেশে বা সফরে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৩) সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা না বলা।
১৪) জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৫) ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৬) উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৭) স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস না করা।

সহবাসের দোয়ার ফজিলত

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ আপন স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে তখন উক্ত দোয়া পড়ে যেন মিলিত হয়। এ মিলনে যদি তাদের কিসমতে কোনো সন্তান আসে,  সে সন্তানকে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। – বুখারি, মুসলিম, মিশকাত

স্বামী স্ত্রীর কখন গোসল ফরজ হয়?

পুরুষাঙ্গ নারীর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করলেই গোসল ফরয হবে-বীর্যপাত ঘটুক অথবা না ঘটুক।

ফরজ গোসল দেরিতে করা যাবে কিনা?

স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ ইত্যাদির কারণে গোসল ফরজ হলে তৎক্ষণাৎ গোসল করা আবশ্যক নয়। বরং ঘুম, ব্যস্ততা বা প্রয়োজনে বিলম্ব করা জায়েজ আছে।

কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়?

নারী ও পুরুষের গুপ্তাঙ্গের সম্মিলন ঘটলেই গোসল ফরজ হয়ে যাবে। – তিরমিযী

মেয়েদের কখন গোসল ফরজ হয়?

নারীদের জন্য যে যে সময় গোসল ফরজ হয়: 

১) স্বামী সহবাস করার পর। 
২) পুরুষাঙ্গ যোনিপথে প্রবেশ করালে।
৩) মাসিক শেষ হওয়ার পর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *