দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি – ব্রেস্ট ম্যাসাজ করার নিয়ম

দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি জেনে আপনার স্তনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে আমাদের দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন।


স্তন একজন নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি জেনে আপনার স্তনের সুন্দর্য বাড়াতে পারবেন, আর এর জন্য কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুধ ম্যাসাজ কি?

দুধ ম্যাসাজ হচ্ছে দুধের সৌন্দর্য বৃদ্ধির করার ব্যায়াম। যে ব্যায়াম গুলো করলে দুধের আকৃতি সঠিক থাকে এবং স্তনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় দেখা যায় বয়সের কারণে বা খাওয়া-দাওয়ার কারণে শারীরিক কাঠামোর পরিবর্তন হয়।


দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি
দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি

এই সময়ে শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট হতে থাকে। ঘরোয়া ম্যাসাজ এর মাধ্যমে আপনার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারেন খুব সহজেই।

দুধ ম্যাসাজ করার উপকারিতা কি?

একজন নারী যদি নিয়মিত ম্যাসেজ করেন এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী তার খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তার বেশ কিছু শারীরিক পরিবর্তন হবে। যে পরিবর্তনগুলো তার স্তন এবং শরীরের সৌন্দর্য আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।

দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি

দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দিব কিভাবে আপনার দুধের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন এবং ঠিক রাখতে পারেন আপনার বডির সাইজ।


দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি
দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতি

ব্রেস্ট ম্যাসাজ করার নিয়ম

প্রথমে আপনার হাত একসাথে ঘষে গরম করুন। এরপর দুই হাত স্তনের মাঝখানে হালকা করে ধরে ডান হাত ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং বাম হাত ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করতে থাকুন। 

রিল্যাক্স মোডে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য এটি  ১০০ থেকে ২০০ বার করতে থাকুন বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। দেখবেন কয়েকদিন পরেই আপনি এর সুফল পেতে শুরু করবেন।


গোসলের সময় ম্যাসাজ দুধ করুন

গোসলের সময় আমাদের শরীর খুব সতেজ এবং ফ্রেশ থাকে। আর গোসলের সময় দুধ ম্যাসাজ খুবই কর্যকরী। তাই গোসলের আগে আপনার হাত দিয়ে দুধের চারপাশ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আস্তে আস্তে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন।

আর এর সাথে নিয়ম করে সুষম খাদ্য খেতে হবে এবং থাকতে হবে চিন্তা মুক্ত দেখবেন অল্পকিছুদিনের মধ্যেই আপনার দুধের সাইজ সুন্দর হতে শুরু করবে।

মধু বা তেল দিয়ে দুধ ম্যাসাজ

আপনার শরীর যদি খুব নরম এবং তুলতুলে হয়। শুধু হাত দিয়ে ম্যাসাজ করতে সমস্যা হয় তারা তেল বা মধু ব্যবহার করতে পারেন। কারণ মধু বা তেল ব্যবহার করলে কোনো ধরনের ব্যথা হবে না। প্রথমে দুধে মধু বা তেল ঢালুন এবং তারপর ধীরে ধীরে চারদিক থেকে স্তন টানতে থাকুন।


দুধে তেল বা মধু ঢেলে প্রতিদিন একইভাবে ৫০ থেকে ১০০ বার টানবেন। মধুতে রয়েছে অনেক গুণ যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়। মধু দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এভাবে কয়েকদিন করলেই এর উপকারিতা দেখতে পাবেন।

জেল দিয়ে দুধ ম্যাসাজ

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ম্যাসাজ জেল পাওয়া যায়। যেটাতে আপনি খুব সহজেই দুধ ম্যাসাজ করতে পারবেন। তবে এর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি রয়েছে অপকারিতাও । তাই যদি আপনি এই জাতীয় দ্রব্য দিয়ে দুধ ম্যাসাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো মানের জেল ব্যবহার করতে হবে। তা নাহলে আপনার শরীরে উপকার পরিবর্তে অপকারই বেশি হতে পারে।

বিউটি পার্লারে দুধ ম্যাসাজ

নিয়মিত বিউটি পার্লারে গিয়ে দুধ ম্যাসাজ করিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। এটা জেল বা ক্যামিক্যাল দ্রব্য থেকে বেশি কার্যকরী। যদি আপনার কাছাকাছি কোন বিশ্বস্ত বিউটি পার্লার থাকলে সেখানে গিয়ে আপনি প্রতিদিন দুধ ম্যাসাজ করে নিয়ে আসতে পারেন।

ব্যায়ামের মাধ্যমে দুধের সৌন্দর্য বৃদ্ধি

আপনি যতই ব্যয়াম বা ম্যাসাজ করেন যদি আপনার খাদ্যতালিকায় যদি সঠিক মাত্রায় সুষম পুষ্টি না থাকে তাহলে সকল প্রচেষ্টাই ব্যার্থ হয়ে যাবে। তাই শরীরের সঠিক গঠন ঠিক রাখতে খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

সুষম খাবার এর সাথে যদি প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা যায় তবে খুব দ্রুততার সাথে আপনার দুধের সাইজকে সঠিক সেপে নিয়ে আসতে পারবেন। আর তার জন্য যে ব্যায়াম গুলো করবেন তা নিচে দেয়া হলো।

বেঞ্চ প্রেস ব্যায়াম

আপনি যদি নিয়মিত এক থেকে দুই মাস বেঞ্চ প্রেস ব্যায়ামটি কন্টিনিউ করেন দেখবেন আপনার দুধের সাইজ আগের থেকে অনেক সুন্দর হয়ে গেছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এবং সন্ধ্যা বেলা বেঞ্চ প্রেস ব্যায়ামটি করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

বাটারফ্লাই প্রেস ব্যায়াম

নিয়ম করে প্রতিদিন বাটারফ্লাই প্রেস ব্যায়মটি করলে ১ থেকে ২ মাসের মধ্যেই তার দুধের সেপ পরিবর্তন হতে শুরু করবে। দুধের সাইজ ভাল রাখতে এটা খুবই কার্যকরী একটি ব্যায়ম হিসেবে পরিচিত।

পুশ আপ ব্যায়াম

পুশ আপ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন যেমন বেড়ে যায় তেমনি দুধের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে খুবই সাহায্য করে। তাই কেউ যদি নিয়ম করে প্রতিদিন ৫ থেকে ১৫ বার পুশ আপ করেন তাহলে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই আপনার দুধের সাইজ সুন্দর হয়ে যাবে। এটা একদিকে যেমন দুধের সাইজ সুন্দর করে অন্যদিকে শরীরকে রাখে সুস্থ্য সবল।

আশা করি দুধ ম্যাসাজ করার পদ্ধতিগুলো নিয়মিত ফলো করলে অনেক দ্রুত সময়ে স্তনের সাইজ সুন্দর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *